করোনার পর ঘুরে দেখা-২| Travel after Corona-2

করোনার পর ঘুরা ঘুরি-২

মেঘালয় ভ্রমন-১ (চেরাপঞ্জি)



সেভেন সিস্টার এর কথা নিশ্চয় শুনেছেন! হ্যা সেভেন সিস্টার হচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য অরুনাচল প্রদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও মনিপুর। 


এই একটা রাজ্যের সৌন্দর্য এক এক রকম। এদের মধ্যে মেঘালয় অন্যতম  সুন্দর রাজ্য। এটি পাহাড়ি অঞ্চল। মেঘালয় রাজ্যটি মাত্র ১১ টি জেলা নিয়ে গঠিত। এর আয়তন মাত্র ২২৪২৯ কি.মি.। এই রাজ্যেই অবস্থিত চেরাপুঞ্জি ও সিলং। চেরাপুঞ্জিতে একমাসে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আর শিলং হচ্ছে মেঘালয়ের রাজধানী। 


এই রাজ্য বাংলাদেশর খুবই কাছে। তাই করোনার পরই হতে পারে ঝরনা, পাহাড় আর লেকে সমৃদ্ধ মেঘালয় ভ্রমণ আপনার জীবনের এক অপার্থিব আনন্দের উৎস। তবে মেঘালয়ের যৌবন রূপ দেখতে হলে আপনাকে এপ্রিল থেকে আগস্ট এর মধ্যে ভ্রমণ করতে হবে।


এই বার বলি বাংলাদেশ থেকে মেঘালয় কিভাবে যাব? মেঘালয় যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে ভারতের ভিসা নিতে হবে। ভারতের ভিসা কিভাবে নেবেন তার জন্য লিংকে ক্লিক করুন। মেঘালয় যেতে আপনাকে দাউকি বর্ডার দিয়ে ভিসা নিতে হবে। তার মানে আপনার ভিসাতে থাকতে হবে পোর্ট অব এন্ট্রি ও এক্সিটঃ দাউকি। 

https://www.travellbd.com/2020/08/blog-post_12.html

মেঘালয় যেতে হলে আপনাকে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে সিলেট তামাবিল বর্ডারে। ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য সারাদিনই ফকিরাপুল, কমলাপুর ও সায়েদাবাদ থেকে বাস ছাড়ে। আবার কমলাপুর থেকে ট্রেন আছে। আপনি চাইলে ট্রেনও যেতে পারেন। তবে যেভাবেই যান ৪০০-১২০০ টাকার মধ্যে সিলেট যেতে পারবেন এসি -নন এসি যে কোনো মাধ্যমে। আমি আর বিস্তারিত বলছি না ওটা নিয়ে। চাইলে অনলাইনে বাস আথবা ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন আমি লিংক নিচে দিয়ে দেব।


বাসে গেলে কদমতলিতে নামিয়ে দেবে আর ট্রেনে গেলে সিলেট স্টেশনে নামতে হবে। তারপর ওখান থেকে একটা সিএনজি নিয়ে চলে যাবেন তামাবিল বর্ডারে। তবে সময় থাকলে বাসেও যেতে পারেন। মনে রাখবেন তামাবিল এর ইমিগ্রেশন সকাল ৯ টাই খোলে তাই আপনি আগে গেলেও বসে থাকতে হবে।


এরপর ইমিগ্রেশন শেষ করে আপনারা দাউকিতে চলে যাবেন। এর পর আপনারা দাউকি বাজারে চলে যাবেন লোকাল জিপে করে। দাউকি বাজারে গিয়ে প্রথমে যেটা করবেন ডলার ভাঙ্গিয়ে নেবেন। ওখানে কোনো মানি এক্সচেঞ্জ পাবেন না। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। যে স্টেশনারি/মুদি দোকান গুলো দেখবেন তারাই আপনার ডলার ভাঙ্গিয়ে দেবে। 


এরপর আপনারা মানুষ বুজে গাড়ি ভাড়া করবেন। টাটা সুমো জীপ অথবা টেক্সি ভাড়া করতে পারেন। দাউকি থেকে সরাসরি চেরাপুঞ্জি আথবা সিলং এর গাড়ি পেয়ে যাবেন।তবে গাড়ি ভাড়া করার সময় অবশ্যয় বলে নেবেন যাওয়ার পথে কি কি দেখবেন। আপনারা যাওয়ার পথে দেখবেন দুটি ঝরণা, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম ও কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট।


দাউকি থেকে ২০-২৫ মিনিট যাত্রার পরই পেয়ে যাবেন উমক্রেম ফলস। যার স্বচ্ছ পানি আর কল কল শব্দ আর হিমশীতল পরিবেশ আপনার সব ক্লান্তি একেবারে দূর করে দেবে। আরো ১০-১৫ মিনিট গেলে আপনারা দেখতে পাবেন বড়হিল ঝরনা। এটা সেই ঝরনা যেটা সিলেটের পান্থময় থেকে দেখা যাই। ঠিক ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই পৌছে যাবেন এশিয়ার সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রাম মাউলিলং ভিলেজ। এই গ্রামে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারেন। 

 

এই গ্রামেই আছে লিভিং রুট ব্রিজ।  ওটা অবশ্যয় দেখবেন। লিভিং রুট ব্রিজ দেখে চেরাপঞ্জি যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। পরদিন আপনারা চেরাপুঞ্জি ঘুরে দেখতে পারবেন।


Post a Comment

0 Comments