কিভাবে ভারতীয় ভিসা লাগাবেন?/ How to get Indian Visa











কিভাবে ভারতীয় ভিসা লাগাবেন?

 

এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে বলব কিভাবে ভারতে যাওয়ার জন্য ভ্রমণ ভিসা লাগাবেন। তার আগে বলে রাখি ভারতীয় এম্বেসী অনেক ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে যেমন মেডিকেল বা চিকিৎসা ভিসা, ট্রানজিট ভিসা,  ব্যবসায়ী ভিসা ইত্যাদি।  তবে প্রত্যেকটি ভিসার আলাদা আলাদা উদ্দ্যেশ্যে আছে। কিন্তু আমি এখানে শুধু ভ্রমণ ভিসা নিয়ে আলোচনা করব। 

ভিসা নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, ভিসা ফি জমা দিতে হবে অনলাইনে এবং আপনাকে নিজে গিয়ে ভিসা আবেদন পত্র ও কাগজপত্র জমা দিয়ে আসতে হবে। তারপর ওরা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার পাসপোর্ট ফেরত দেবে ভিসা দিক আর না দিক।


তাহলে এবার দেখে নেই কি কি কাগজ লাগবেঃ

১। ভিসার আবেদন পত্রটি অনলাইনে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আর ভিসা আবেদন পত্র পূরনের জন্য আমি এই লিংকে যেতে হবে। https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/

২। সঠিক ভাবে পূরণ করা আবেদন পত্রটি প্রিন্ট নিতে হবে। তবে আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে পূরনের জন্য আপনাকে কিছু জিনিস জানতে হবে। যেমন আপনার ২"×২" ল্যাবপ্রিন্ট ছবির স্ক্যান কপি, আপনি কোন বর্ডার দিয়ে ভ্রমণ করতে চান তার নাম। আপনি কখোনোই বাই রোড/রেল গেদে (দর্শনা), বাই রোড হরিদাসপুর (বেনাপোল), বাই এয়ার এগুলো দেবেন না। কারন এগুলো অটোমেটিক আসবে ভিসাতে। আপনি এছাড়া অন্য যে কোনো বর্ডারের নাম দিতে পারেন। আর লাগবে আপনি কোন হোটেলে থাকবেন তার ঠিকানা ও ফোন নম্বর। আগোডা ডট কম/ বুকিং ডট কম  এর মাধ্যমে ফ্রি ক্যানসেলেশন অপশন রেখে বুকিং দেবেন। তাহলে ঠিকানা আর মোবাইল নম্বর পেয়ে যাবেন।

৩। এর পর অনলাইনে ভিসা ফি দিতে হবে। এখন আর আগের মত সরাসরি নগদটাকা নেই না। আপনি যে কোনো ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে আথবা সিটি ব্যাংক এর ডেবিট কার্ড এবং যে সব ব্যাংকের ডেবিট কার্ড আছে তার মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারেন। ভিসা ফি ৮০০ টাকা আর ব্যাংক চার্জ ২৪ টাকা। মোট ৮২৪ টাকা দিতে হবে এক জনের জন্য। ভিসা ফি দেওয়ার পর একটা ভাউচার জেনারেট হবে ওটা প্রিন্ট করে আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে। 

৪। এখন দেখি কি কি কাগজ লাগবেঃ 

- ২"×২" দুই কপি অবশ্যয় তা ৬ মাসের মধ্যে তোলা হতে হবে, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে। তবে স্টুডিও তে গিয়ে বললেই করে দেবে কোনো চিন্তার কারণ নেই।

- পাসপোর্টের প্রথম ৫ পাতা ফটোকপি এবং ভারতীয় শেষ যে ভিসা ছিল তার কপি। আর পাসপোর্টে অবশ্যয় ২ টি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।

- শেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর তাতে অবশ্যয় ২০,০০০ টাকা ব্যানেন্স থাকতে হবে। তবে আপনার যদি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে ১৫০ ডলার বা তার বেশি এনডোর্স করা থাকতে হবে।

- আপনি যদি পরিবারের সাথে ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনার নিকাহনামা লাগবে আর আমাদের দেশে নিকাহনামা সাধারণত বাংলায় হয়। তাই ওটা অবশ্যয় আপনাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে হবে। আর আপনি যদি ঢাকাতে থাকেন তাহলে দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন মোড় এবং বিভিন্ন জায়গায় অনুবাদ সেন্টার পেয়ে যাবেন। সাথে নোটারী করতে একেবারেই ভুলবেন না।

-আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে সেখানকার প্রত্যয়ন পত্র লাগবে। আমি প্রত্যয়ন পত্রের একটা ফরম্যাট লিংকে দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা শুধু মাত্র আপনাদের নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও যে তারিখে ভ্রমণ করতে চান সেই তারিখ লিখে প্রতিষ্ঠানের লেটারহেডে প্রিন্ট করে সাইন করালেই হয়ে যাবে।

-আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে আপনার স্যালারি সার্টিফিকেট লাগবে।


-আর আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স,  সংঘস্মারক ও স্মারকবীধি জমা দিলেই হবে আর কিছু লাগবে না।

- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন এর কপি লাগবে।

- বাসস্থানের প্রমান স্বরূপ আপনাকে যে কোনো ইউটিলি (বিদ্যুৎ,  গ্যাস, টেলিফোন)  বিলের কপি দিতে হবে।


সব কাগজপত্র নিয়ে আপনাকে যমুনা ফিউচার পার্কের গ্রাউন্ডফ্লোরে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। পাসপোর্ট জমা নিয়ে একটা টোকেন দেবে।  সেটা যেন কোন ভাবেই না হারাই কারণ টোকেন নম্বর দিয়েই পাসপোর্ট ফেরত নিতে হবে। পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দেবে। এর মধ্যে আপনি চাইলে www.ivacbd.com এ গিয়ে আপনার ভিসা স্টাটাস দেখে নিতে পারেন আপনার টোকেন আর পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে।


ভিসা আবেদন পত্র পূরণ করে ভিজিট করুনঃ https://www.ivacbd.com/?&ln=en

ভিসা স্টাটাস দেখতে ভিজিট করুনঃ https://www.passtrack.net/ 


Post a Comment

0 Comments