থাইল্যান্ড প্রধানত একটি টুরিস্ট প্রধান
দেশ। ট্যুরিজম হচ্ছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতির মূল চালিকা
শক্তি তাই থাইল্যান্ডের ভিসা সাধারণত রিজেক্ট হয় না। তারপরও প্রথম বার যারা ভিসা লাগাবে তাদের যদি অন্য কোনো দেশের ভিসা না থাকে তাহলে রিজেক্ট হতেই পারে।
তাই বলে ভয় পাবেন না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক থাইল্যান্ডের ভিসা লাগানোর জন্য কি কি করতে হবে।
থাইল্যান্ডের
ভিসা লাগানোর জন্য সাধারণত দুটো জিনিসের প্রয়োজনঃ
১। কিছু প্রয়োজনীয় কগজপত্র এবং
২। ভিসা ফি
এবার দেখি থাইল্যান্ডের ভিসা লাগানোর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।
১। একটি
ভিসা আবেদন পত্র সম্পূর্ণ নির্ভুল ভাবে পূরণ করে তাতে সাইন করতে হবে।
২। প্রথমেই লাগবে আপনার ভ্যালিড পাসপোর্ট। ভ্যালিড পাসপোর্ট বলতে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে সর্বনিম্ন ৬ মাস ১০ দিন এবং ভিসা স্টিকার লাগানো ও ইমিগ্রেশন সীল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত খালি পৃষ্ঠা। ৩ টা খালি পৃষ্ঠা থাকলে ভালো না হলে ২ টা থাকলেও হবে। তবে যদি
২ টা থাকে সেক্ষেত্রে ভিসা রিজেক্ট হয়ার সম্ভবনাও থাকে।
৩। এক কপি পাসপোর্ট এর যে পৃষ্ঠাই তথ্য
আছে সেই পৃষ্ঠার কপি।
৪। বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ও ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট।
৫। একটি ব্যবহৃত ফোন নম্বর। একটি আল্টারনেটিভ
ফোন নম্বরও লাগবে।
৬। ব্যাংক স্টেটমেন্টের শেষ ব্যালেন্সটা অবশ্যই আপনি যদি একা ভিসা লাগাতে চান তাহলে ৭০,০০০ টাকা থাকতে হবে আর যদি একাধিক ব্যাক্তির জন্য ভিসা লাগাতে চান এবং তারা আপনার উপর নির্ভরশীল হয় তাহলে প্রত্যেক জন হিসাবে ৭০,০০০ টাকা করে থাকতে হবে। অর্থাৎ
যদি আপনি আর আপনার স্ত্রী হন তাহলে ১৪০,০০০ টাকা থাকা ভালো। তবে ওদের ওয়েবসাইটে ৬০,০০০ টাকার কথা
বলা আছে। তাই ৬০,০০০ টাকা করে রাখলেও হবে। তবে টাকা যত বেশি রাখা যাই ততই ভালো। তাতে ভিসা রিজেক্ট হয়ার সম্ভাবনা কম।
৭। দুই কপি পাসপোর্ট
সাইজ ছবি লাগবে। ছবিগুলো অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে
এবং লাস্ট ৬ মাসের মধ্যে তোলা হতে হবে।
আর ছবির মাপ হবে
(3.5x4.5cm) এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে। যেহেতু সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড তাই
একটু গাঢ় রঙের পোষাক পরলে ভালো হবে। ছবির মাপ যদি মনে না থাকে তা হলে যে কোনো স্টুডিওতে
গিয়ে বললেই হবে থাইল্যান্ডের ভিসা লাগানোর জন্য ছবি লাগবে। ওরা বানিয়ে দেবে।
৮। আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার নিকাহনামা লাগবে আর আমাদের দেশে নিকাহনামা সাধারণত বাংলায় হয়। তাই ওটা অবশ্যয় আপনাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে হবে। আর আপনি যদি ঢাকাতে থাকেন তাহলে দৈনিক বাংলার মোড়, পল্টন মোড় এবং বিভিন্ন জায়গায় অনুবাদ সেন্টার পেয়ে যাবেন।
সাথে নোটারী করতে একেবারেই ভুলবেন না।
৯। আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে সেখানকার প্রত্যয়ন পত্র লাগবে। আমি প্রত্যয়ন পত্রের একটা ফরম্যাট লিংকে দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা শুধু মাত্র আপনাদের নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও যে তারিখে ভ্রমণ করতে চান সেই তারিখ লিখে প্রতিষ্ঠানের লেটারহেডে প্রিন্ট করে সাইন করালেই হয়ে যাবে।
১০। আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে আপনার স্যালারি সার্টিফিকেট লাগবে।
১১। আর আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, সংঘস্মারক ও স্মারকবীধি জমা দিলেই হবে আর কিছু লাগবে না।
১২। এর পর নির্দিষ্ট ফরম আছে ওটা ফিল আপ করতে হবে।১০। থাইল্যান্ডের ভিসা ফি ৩,০০০ টাকা (সিঙ্গেল
এন্ট্রি), ১৫,০০০ টাকা (মাল্টিপল এন্ট্রি)।
কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে জমা দেন তাহলে আপনার কাছে ৪,৫০০-৫,০০০ টাকা নেবে। তবে ওরা গ্যারান্টি দেবে ভিসার।
যারা প্রথমবার ভিসা লাগাবেন তাদেরকে বলব সব কাগজপত্র গুছিয়ে একটা ট্রাভেল এজেন্সি কে দেন আপনার ভিসা হয়ে যাবে। নিজে নিজে করতে গেলে বিভিন্ন করতে পারেন। তাই এজেন্সি দিয়ে করায় ভালো কারণ থাইল্যান্ড এম্বেসি আপনার ভিসা রিজেক্ট হলে পাসপোর্টে রিজেক্ট সীল মেরে দেবে অন্যান্য দেশ আবার এমন করে না।
প্রয়োজনীয় লিংকঃ
১। ভিসা
আবেদন পত্রঃ http://raboninco.com/1hjO3
২। ভিসা আবেদন পত্র পূরনের গাইডলাইনঃ http://raboninco.com/1hjSW
৩। ভিসা ফিঃ http://raboninco.com/1hjVJ
৪। ছবির মাপঃ http://raboninco.com/1hjVJ
৫। চেকলিস্টঃhttp://raboninco.com/1hjYd
0 Comments